জীবনে অনেক পরিশ্রম করেছেন, নিজের জন্য উপযুক্ত পুরুষ সঙ্গী খুঁজে পেয়েছেন, তবে সবই গুড়েবালি। আপনার আয় স্বামীর থেকে বেশি আর স্বামী তা পছন্দ করেন না।
সমস্যা উৎরানোর কিছু উপায় জানিয়েছে লাইফস্টাইলবিষয়ক ওয়েবসাইট এবিএনএ।
মনে করুন কেন বিয়ে করেছিলেন: বিয়ে করেছেন মানুষটিকে, একে অপরের পেশা কিংবা বেতনকে নয়। তাই পেছনে ফিরে তাকান আর মনে করুন কেনো একে অপরকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। দুজনের মিলিত জীবনের লক্ষ্য নিয়ে চিন্তা করুন। তখন এই বিষয় তুচ্ছ বলে মনে হবে।
অর্থই সবকিছু নয়: ঝগড়ার সময় রাগের মাথার অনেক কিছুই বলা হয়ে যায়। যা মন থেকে নয়। তবে সময়ে অসময়ে একে অপরকে আয় নিয়ে খোঁচা দেওয়া বড় ধরনের বোকামি হবে। আয় যতই হোক না কেনো, মনে রাখতে হবে আপনার দুজনেই জীবনের লক্ষ্য পৌঁছতে পরিশ্রম করছেন।
সম্পর্ক বিষয়ক পরামর্শদাতা ডা. রাজন ভোসলে বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজন কর্মজীবনে বেশি উন্নতি করলে এ বিষয়ে আলোচনা করার সময় সতর্ক থাকা উচিৎ। হয়ত আপনি খোলা মনে নিজের কর্মক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করছেন, তবে আপনার সঙ্গীর কাছে তা বড়াই বলে মনে হতে পারে। তাই পরিস্থিতি বুঝতে হবে এবং সঙ্গীর আলোচনায় আগ্রহ থাকলেই কেবল এ বিষয়ে আলোচনা করতে হবে।”
নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া: কোনো বিষয়ে সমস্যা থাকলে তা মনে চেপে না রেখে আলোচনা করুন। মাসের একটি দিন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুন এবং সারা মাসের খরচের বাজেট তৈরি করুন। ‘ডেট নাইট’য়ের বদলে ‘মানি নাইট’ পালন করুন।
সাহায্য নিন: টাকা নিয়ে কিংবা সাংসারিক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে কলহ যদি প্রায়ই চলতে থাকে তবে শুধু সঙ্গীর উপর দোষ চাপিয়ে দিলে চলবে না। সমস্যা আপনারও হতে পারে।
ডা. ভোঁসলে, যিনি এরকম সমস্যার ভুক্তভোগী অনেককেই থেরাপি বা পরামর্শ দিয়েছেন, তিনি বলেন, “এই থেরাপি তিন স্তরে বিভক্ত। প্রথমে আমরা দম্পতির সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নেই। পরে দুজনের সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলি, যেখানে তারা সমস্যা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানান। এরপরের সেশনগুলো হয় দুজনের মিলিত অংশগ্রহণে। সেখানে তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা, সন্তানদের নিয়ে চিন্তা-ভাবনা, আর্থিক সঞ্চয় ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন করি। প্রকৃত কাজটা দম্পতিরা নিজেরাই করেন, আমরা শুধু পথ দেখিয়ে দেই।”
মিলেমিশে খরচ: বলিউডি ডিরেক্টর কবির খান জানান, তিনি যখন বলিউডে নিজের ভাগ্য যাচাই করছিলেন তখন তার স্ত্রী মিনি মাথুর ছিলেন একজন প্রতিষ্ঠিত ভিডিওজকি। তিনি সেসময় স্ত্রীর সাহায্য নিতে কুণ্ঠা বোধ করেন নাই।
কবির খান বলেন, “আমাদের একটি সাধারণ অর্থ ভাণ্ডার ছিল যেখান থেকে দুজনেই নিজেদের খরচের জন্য অর্থ নিতাম। যখন স্ত্রী আমার থেকে বেশি উপার্জন করত, তখন সে ওই ভাণ্ডরে আমার চেয়ে বেশি অর্থ জমা রাখত। এতে আমি কখনই অনির্ভরযোগ্য মনে করি নি।”